বর্তমান যুগের ডিপ্রেশন শব্দটি পরিচিতির সাথে প্রচলিত বটে। তবে আমরা সবাই এই শব্দটির সাথে পরিচিত হলেও সবাই এর সঠিক অর্থ এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানি না।
আর এজন্য আমরা আজকের এই পোস্ট আলোচনা করব ডিপ্রপশন কি এবং এর থেকে মুক্তি উপায় নিয়ে।
ডিপ্রেশন কী?
ডিপ্রেশনের বাংলা অর্থ হলো বিষন্নতা, হীনমন্যতা বা হতাশা। এটি এমন একটি রোগ বা ব্যাধি যা মানুষের মন থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে শরীর এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রভাব ফেলে।
এটি শুধু ব্যাধিযুক্ত ব্যক্তিকে নয় বরং তার আশেপাশে মানুষের শান্তিও নষ্ট করে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডিপ্রেশনকে আবার অন্যভাবে চিহ্নিত করেছে এর মতে, ডিপ্রেশন হলো শক্তিহীনতা এবং উৎসাহ হীনতা।
মনোবিজ্ঞানী অ্যারন বেক (Dr. Aaron T. Beck) বলেন, নিজের পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সম্মিলিত প্রকাশই হলো ডিপ্রেশন।
দুশ্চিন্তা থেকে ডিপ্রেশন এর সূত্রপাত হয় ডিপ্রেশন। এর ফলে মানুষের মন মানসিকতা, মেজাজ খারাপ থাকে। তবে মন খারাপ থাকা এবং ডিপ্রেশন দুটি এক জিনিস নয়।এই মন খারাপ যখন দীর্ঘদিন যাবৎ থাকে এবং বিভিন্ন কাজকর্মে প্রভাব ফেলে তখন তাকে মূলত ডিপ্রেশন বলা হয়। সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ডিপ্রেশন এর প্রভাব দেখা যায়।
তবে এই ক্ষেত্রে টিনেজার্স বা কম বয়সের মানুষদের মধ্যে এটি বিরাজমান একটু বেশি। এই বয়সে তারা অনেক আবেগপ্রবণ থাকে এবং বিষন্নতা তাদের উপর ভর করে যার ফলে তারা কোন কিছুতেই ডিপ্রেশনে চলে যায়।
ডিপ্রেশন থেকে অনেকে ডায়াবেটিস, অনিদ্রা, হাইপারটেনশন, ব্লাড প্রেসার, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এর প্রভাব এত যে মানুষ আত্মাহত্যার মতো মারাত্মক কাজ করতে দ্বিধা করে না।
২০১৭ সালের একটি পরিসংখ্যানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডিপ্রেশন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেন যেখানে দেখা যায় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০.০৭% মানুষ মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন যার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডিপ্রেশন।
তাই আমাদেরকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে হবে আর সেজন্য আমাদের এরোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানার দরকার।
ডিপ্রেশনের কারণ:
যদিও ডিপ্রেশনের কোন যথাযথ কারণ জানা যায়নি তবে এইরোগ সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত কিছু কারণ সম্পর্কে জানা গেছে। যেমন-
- জেনেটিক কারণ: পরিবার কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ডিপ্রেশনের সমস্যায় থাকলেই এইসমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
- বায়োকেমিক্যাল কারণ: মস্তিষ্কে যদি সেরাটোনিন (নানা অনুভূতি জোগানকারী) ও নরড্রেনালিন এর ঘাটতি দেখা যায় এবং অনিয়ন্ত্রিত কর্টিসল হরমোনের বৃদ্ধিকে ডিপ্রেশন সৃষ্টির রাসায়নিক ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
- ব্যক্তিত্ব: যদি কোন ব্যক্তি উদাসী, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, ছোট কিছু কে বড় করে দেখা এবং নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তবে ডিপ্রেশন আরো বেড়ে যায়।
- আদর ও অবহেলা: ডিপ্রেশনের আরেকটি কারণ হলো পরিবার থেকে অবহেলিত হওয়া কিংবা আদর কম পাওয়া। অনেক শিশু রয়েছে যারা মা-বাবার স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়, পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে বেড়ে ওঠে ফলে তাদের মধ্যে ডিপ্রেশনের মাত্রা বেশি থাকে যা পরবর্তীতে মুখ্য কারণ হয়ে ওঠে।
- অনিদ্রা: অনেকদিন যাবত ভালমতো ঘুম না হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং মানসিকভাবে আমরা অশান্তিতে থাকি যার ফলে আমরা ডিপ্রেশন চলে যায়।
- দারিদ্র্য ও বেকারত্ব: আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষের ডিপ্রেশনের যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বা প্রধান কারণই হচ্ছে দারিদ্রতা বা বেকারত্ব। দারিদ্রতার ফলে মানুষ নিজেদের জীবন যাপন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে ডিপ্রেশনে চলে যায়। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা বেকারত্ব ভুক্তভোগী এবং তাদের ডিপ্রেশন এর মাত্রা এত বেশি যে তারা আত্মহত্যার মতো মারাত্মক কাজ করতেও দ্বিধা করে না।
এছাড়া বিভিন্ন রোগব্যাধি ও ঔষধ, গর্ভাবস্থায়, পারিবারিক বন্ধনে সমস্যা, পড়াশোনা বা প্রেমে ব্যর্থতা, কর্মস্থলে সমস্যা ইত্যাদিও ডিপ্রেশনের কারণে হতে পারে।
Read More
- সকালে হাঁটার ৮টি উপকারিতা | The Benefits of Morning Walk
- পেটের মেদ কমানোর ৮টি কার্যকর উপায় | Belly Fat Reduce Effectively
ডিপ্রেশন এর লক্ষণ
- কোনো কিছুতে মনোযোগ কম দেওয়া বা ভুলে যাওয়া এবং কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়।
- ক্রমাগত দুঃখিত, উদ্বিগ্ন থাকা এবং মেজাজ খারাপ করে রাখা।
- হতাশা বা নিন্দা, নিজের প্রতি অপরাধবোধ, মূল্যহীনতা বা অসহায় অনুভূতি করা।
- প্রতিদিনের কাজকর্মে আগ্রহ কমে যাওয়া।
- হঠাৎ করে অস্থিরতা বা বিরক্তিবোধ করা।
- ধৈর্য ও সহনশীলতা হারিয়ে খিটখিটে মেজাজে করে রাখা।
- অনিয়মিত বা অনিদ্রায় থাকা, অনেক রাতে অনেজ দেরিতে ঘুমনো ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠা।
- খাবার ঠিক মতো না খাওয়া বা অত্যাধিক ক্ষুধা হ্রাস হওয়া।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন- হাত,পা পেশি ব্যাথা বা জ্বালা করা, মাথাব্যাথা করা।
- মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা বা প্রচেষ্টা করা।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
উপরের আলোচনায় আমরা জেনেছি ডিপ্রেশন(Depression)কি, এর কারণ এবং এর ফলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা যায় সেই সম্পর্কে।
ডিপ্রেশন কোন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নয় কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারি। একটি প্রবাদ আছে- ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়(“If there is a will, there is a way”)।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির কিছু উপায় সম্পর্কে।
১. বাস্তববাদী লক্ষ্য ঠিক করুন :
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখা। আমাদের সবারই কিছু কাজ করতে ভালো লাগে আমরা সেগুলোর মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারি।
এর ফলে আমাদের সময় কেটে যাবে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে মনোযোগ কম যাবে। এতে করে আমরা জানার সময় পাব যে আমাদের কি করলে ভালো বা খারাপ লাগে। আর নিজেকে ব্যস্ত রাখালে মাধ্যমে ডিপ্রেশনের মাত্রা কমতে সাহায্য করবে।
Matt Lucas বলেন– “Keep yourself busy If you want to avoid depression. For me inactivity is the enemy.” (নিজেকে ব্যস্ত রাখুন আপনি যদি বিষণ্নতা এড়াতে চান। আমার জন্য নিষ্ক্রিয়তা শত্রু।)
২. আপনজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো :
আপনজন বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানোর ফলে ডিপ্রেশন থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের উচিত আমাদের কাছের আপনজন বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে বেশি সময় কাটান তাদের সাথে সময় কাটানোর ফলে মন খারাপ থাকে না বরং সবসময় হাসি-খুশি থাকা যায়।
এমনকি তাদের সাথে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতার কারণ নিয়ে আলোচনা করালেও ভালো লাগে এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরামর্শ পাওয়া যায়। তাই আমরা আপনজনদের সাথে গল্প-গুজব করে মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করব ফলে আমরা বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
৩. ইতিবাচকতা (Positivity) খোঁজা :
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতার প্রথম সূত্রই হচ্ছে নেতিবাচকতা অর্থাৎ সবকিছুর খারাপ দিক চিন্তা করা। কোন কাজ শুরু করার আগেই তার খারাপ দিক খোঁজতে শুরু করা বা নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলার কারণে মানুষ মধ্যে বিষণ্ণতায় বেড়ে যায়।
আমাদের উচিত কোন কাজ শুরু করার আগে এর নেতিবাচক দিকগুলো না ভেবে তার ইতিবাচক দিক সম্পর্কে ভাবা আর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা যে আমি এই কাজটি করতে পারব। আমাদের নিজেদের মাঝ থেকে নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচকতার আলো জ্বালাতে হবে।
Sometimes your joy is the source of your smile, but sometimes your smile can be the source of your joy – Thich Nhat Hanh.
৪. সুস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য আমাদের মূলত মনকে ভালো রাখতে হবে আর আমরা জানি যে মন ও শরীর পরস্পর সংযুক্ত। তাই আমাদের মনকে ভালো রাখার জন্য শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাবার সঠিকভাবে খেতে হবে। অবশ্যই সে খাবার যাতে প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিনযুক্ত হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ভিটামিন বি, সি, ডি এবং আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে মন ও শরীর ভালো থাকে সেজন্য নিয়মিত খাবারের আমরা শাক-সবজি, ফলমূল খেতে পারি। আর অবশ্যই আমাদের পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
সুস্বাস্থ্য খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে সাথে মনও ভালো থাকবে। এমনকি হাভার্ড মেডিকেল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সুস্বাস্থ্যকর ডায়েট ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা থেকে মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫.শরীরচর্চামূলক কাজ করা :
খাবারের সাথে সাথে আমাদের কে ধ্যান বা শরীরচর্চামূলক কাজ করার দরকার কেননা এটি আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আমাদের মধ্যে কিছু শারীরিকভাবে নিঃসৃত হরমোন রয়েছে যা আমাদের মনকে ভালো রাখতে অবদান রাখে। আর এই হরমোনের নাম হচ্ছে ‘এন্ড্রোফিন’। প্রতিদিন শরীরচর্চার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে এই হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে।
ফলে তা মন ভালো রাখতেও সাহায্য করে। সেজন্য আমাদের ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা কমানোর জন্য নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন যেমন- সাইকেল চালানো, বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম, সাঁতার কাটা ইত্যাদি করতে পারি।
৫.বিনোদনমূলক কাজ:
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা কাটিয়ে উঠানোর জন্য আমরা কিছু বিনোদনমূলক কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারি। মূলত, ডিপ্রেশনের সময় আমাদের অপছন্দনীয় কাজ বা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মন বসে না সেক্ষেত্রে আমাদের সেসকল কাজ বেশি করে করা উচিত যা করলে আমাদের মন ভালো থাকে এবং আনন্দ পায়। আমরা সবাই একেকজন একেক ধরনের রুচি সম্পন্ন ব্যক্তি।
কারো একজনের পছন্দের সাথে অন্যজনের পছন্দ নাও মিলতে পারে তাই আমাদের বিনোদনের মাধ্যমে আলাদা হয়। আমরা বিভিন্ন বিনোদন থেকে আনন্দ পেতে পারি যেমন সিনেমার গান করা খেলাধুলা রান্না করা ঘুরতে যাওয়া আড্ডা দেওয়া বই পড়া ইত্যাদি।
‘কাউন্সিল অফ অ্যাডাল্ট এডুকেশন’ এর তথ্য অনুযায়ী ছয় মিনিট নিরব বই পড়ার ফলে অবসাদ বা বিষন্নতার মাত্রা ৮ শতাংশ কমে যায়।
আর এই সকল কর্মকাণ্ডের ফলে আমরা অতি তাড়াতাড়ি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারব।
৭. প্রার্থনা:
আমরা যখন কোন কিছু থেকে বের হতে না পারি তখন আমাদের সর্বশেষে বিশ্বাসই হচ্ছে আমাদের সৃষ্টিকর্তা। সাধারণত মানুষ ডিপ্রেশন বা বিষন্নতার একদম শেষ প্রান্তে চলে গেলে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখার মাধ্যমে এই ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে যেতে পারে।
সেজন্য আমাদেরকে নিজেদের সৃষ্টিকর্তা ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে তাহলে আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস ও শক্তু ফিরে পাবো যা আমাদেরকে এই বিষন্নতা থেকে মুক্তি দিবে।
এমনকি সাইকোলজিস্টরাও মনে করে, নিজস্ব ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
“Once you choose hope, anything is possible.”—Christopher Reeve
৮.পর্যাপ্ত ঘুম:
বর্তমান সময়ে আমাদের সবার মধ্যে একটি সাধারণ বিষয় হলো ঘুম নিয়ে অবহেলা করা। বিশেষ করে টিনেজার্সরা পর্যাপ্ত না ঘুমানোর ফলে অতি সহজেই তারা ডিপ্রেশনে চলে যায়।
একজন ব্যক্তিকে তার বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে। কেননা ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং আমাদের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় আর এতে করে আমাদের শরীরের সাথে মনও ফুরফুরে অনুভব করে।
তাই আমরা সব সময় পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করব আর এতে করে আমার ডিপ্রেশন থেকেও রক্ষা পাব।
“A good laugh and a long sleep are the two best cures for anything.”(Irish proverb)
এছাড়াও ধৈর্যধারণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মাধ্যমে আমরা আমাদের ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে মারাত্মক পর্যায়ে ডিপ্রেশন থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন বর্তমান সময়ে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা মাধ্যমে সহজেই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আশা করি, এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ডিপ্রেশন এবং এর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমাদের একটি কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে সুখ-দুঃখ নিয়ে মানুষের জীবন। তাই কখনো ভেঙে না পরে সমস্যা সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।