ভুটান, এশিয়ার এক বিশেষ দেশ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিকতা, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মিশে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। এ দেশের হিমালয়ের পাদদেশে সুষম প্রকৃতি, মনোরম পরিবেশ এবং শাশ্বত সংস্কৃতির সমন্বয়ে এক নতুন ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
তবে, অনেকেই জানেন না যে, ভুটান ভ্রমণের জন্য ভারতের মাধ্যমে যাওয়া একমাত্র পথ নয়।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভুটান যাওয়া সম্ভব এবং তাও অত্যন্ত কম খরচে।
ভারতের ভিসা ছাড়াই ভুটান ভ্রমণের জন্য এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড প্রদান করা হলো।
বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার উপায়
ভুটান ভ্রমণের জন্য সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায় হলো সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়া। ভারত ভ্রমণ ছাড়াই এবং কম খরচে আপনি ভুটান পৌঁছাতে পারেন। এখানে বিস্তারিতভাবে জানানো হচ্ছে, কিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভুটানে পৌঁছাতে পারবেন:
১. বেনাপোল–যশোর–চুংখা সীমান্ত বাদ দিয়ে, সরাসরি পথ:
-
ঢাকা → বুড়িমারী (লালমনিরহাট) → চাংলোংখা বর্ডার (ভুটান)
ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত বাসে যাওয়া যায়, যা প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় নেয়। বাসের ভাড়া সাধারণত ৫০০-৬৫০ টাকা হয়ে থাকে। বুড়িমারী থেকে ভুটানের চাংলোংখা বর্ডার পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ট্যাক্সি বা বাস নিতে পারেন, যার ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকা হতে পারে। এটি একটি সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক যাত্রা।
বর্ডার পার হওয়ার পর:
ফুন্টশোলিং (ভুটানের সীমান্ত শহর) পৌঁছাতে, আপনি বর্ডার পার হওয়ার পর সোজা ফুন্টশোলিং চলে আসবেন। ভুটান ঢোকার জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন নেই, কারণ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভুটানে ভ্রমণ করতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন। তবে, ফুন্টশোলিংয়ে অবস্থিত Immigration Office-এ গিয়ে Entry Permit নিতে হবে। এ জন্য আপনাকে আপনার পাসপোর্ট ও একটি ছবি (১ কপি) সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে এবং এই Entry Permitটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
ভুটানে ঢোকার নিয়ম (ভিসা):
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভুটান ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রয়োজন হয় না। তবে, ফুন্টশোলিংয়ে যাওয়ার পর, Immigration Office থেকে Entry Permit নিতে হবে। এই প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং আপনাকে কোনো রকম কষ্ট করতে হবে না।
খরচের হিসাব (৫ দিন ৪ রাতের জন্য – জনপ্রতি)
আপনি যদি ৫ দিন ৪ রাতের জন্য ভুটান ভ্রমণ করতে চান, তবে আনুমানিক খরচের হিসাব হবে নিম্নরূপ:
-
ঢাকা → বুড়িমারী বাস ভাড়া: ৳৬৫০
-
বর্ডার ক্রসিং ও লোকাল যাতায়াত: ৳৪০০
-
হোটেল (৪ রাত, বাজেট গেস্টহাউস): ৳৮০০ × ৪ = ৳৩২০০
-
থিম্পু-পারো-পুনাখা যাতায়াত ও লোকাল পরিবহন: ৳২০০০
-
খাওয়া-দাওয়া (প্রতিদিন ৩ বেলা): ৳৫০০ × ৫ = ৳২৫০০
-
অন্যান্য খরচ (ইন্ট্রি ফি, গাইড, টিপস ইত্যাদি): ৳১০০০
মোট আনুমানিক খরচ: ৳৯৭৫০ – ১১,৫০০
এটি একটি কম খরচে ভুটান ভ্রমণের জন্য নিখুঁত বাজেট হিসাব, যা আপনি একটি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ভ্রমণের মাধ্যমে পূর্ণ করতে পারবেন।
ভ্রমন পরামর্শ
ভুটান ভ্রমণের সময় কিছু ছোটখাটো পরামর্শ থাকতে পারে, যা আপনাকে একটি সুন্দর এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে সাহায্য করবে:
-
টাইগার নেস্ট ট্রেক:
পারোতে টাইগার নেস্ট মঠে যাওয়ার জন্য ট্রেক করার সময়, হালকা ও আরামদায়ক জুতা নিন। এই ট্রেকটি খুবই কষ্টকর হতে পারে, কিন্তু শারীরিকভাবে তা খুবই উপভোগ্য। -
রেজিস্টার্ড ট্যুর গাইড:
আপনি যদি নিজে গাইড না নিয়ে ভ্রমণ করতে চান, তবে কিছু জায়গায় গাইড ছাড়াও যেতে পারবেন না। এজন্য আগে থেকেই অনলাইনে গাইড খুঁজে নেওয়া বা ফুন্টশোলিংয়ে গিয়ে রেজিস্টার্ড গাইড খোঁজা উচিত। -
দরদাম করুন:
ভুটান বিশেষ করে বাজার বা হোটেল এলাকায়, অনেক সময় দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। এজন্য দরদাম করা জরুরি। -
ভ্রমণ পোস্টার বা ভিডিও স্ক্রিপ্ট সহায়তা:
যদি আপনাকে ভ্রমণ পোস্টার, ভিডিও স্ক্রিপ্ট বা বুকিং সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি আমাকে জানাতে পারেন। আমি আপনাকে সেই বিষয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
ভুটান দেশ কেমন?
- ভুটান একটি শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক দেশ, যা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত।
- এটি গড়ে ৭.৫ লাখ জনসংখ্যার একটি ছোট্ট রাজ্য।
- ভুটান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত, যেখানে পাহাড়, বন, নদী, এবং হিমালয়ের অপরূপ দৃশ্য রয়েছে।
- দেশটির পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত এবং জীবনযাত্রা এখানে ধীরগতি ও প্রাকৃতিক।
- ভুটান হল “গােথিপূর্ণ সুখ” বা “Gross National Happiness” এর ধারণার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
- দেশের সংস্কৃতি গভীরভাবে বৌদ্ধধর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, এবং বৌদ্ধ মঠ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য সেখানে অন্যতম আকর্ষণ।
- দেশটি একটি রাজতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করে, যেখানে রাজা দেশটির প্রধান নেতা।
ভুটানের ভাষার নাম কি
ভুটানের সরকারি ভাষা হচ্ছে দজংকা। দজংকা ভাষা দেশের অধিকাংশ জনগণের মধ্যে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ভুটানের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। অন্যান্য স্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে শারচোপ, নেপালি, এবং ইংরেজি কিছু কিছু অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
ভুটানের রাজধানীর নাম কি
ভুটানের রাজধানী শহরের নাম থিম্পু। থিম্পু শহরটি ভুটানের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এটি একটি অত্যন্ত শান্ত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ শহর, যেখানে রাজকীয় পরিবার এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত।
ভুটান বনাম বাংলাদেশ
ভুটান এবং বাংলাদেশ দুটি ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের দেশ। ভুটান একটি পর্বতচূড়ার দেশ, যেখানে বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি সমভূমি এবং নদীপ্রবাহের মতো। ভুটানে জনসংখ্যা কম হলেও বাংলাদেশের জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
ভুটানের মুদ্রার নাম কি
ভুটানের মুদ্রার নাম Ngultrum (BTN)। এটি ভুটান রেজার্ভ ব্যাংকের অধীনে চলাচল করে এবং ভারতীয় রুপি (INR) সাধারণত সমান মূল্যে ব্যবহার হয়।
ভুটানের আয়তন কত
ভুটানের মোট আয়তন প্রায় 38,394 বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর একেবারে ছোট দেশগুলোর মধ্যে একটি, তবে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ব্যাপক।
ভুটান ভিসা বাংলাদেশ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভুটানে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায়, তবে Entry Permit নিতে হয়। Entry Permitটি ফুন্টশোলিংয়ে অবস্থিত Immigration Office থেকে পাওয়া যায় এবং এটি ফ্রি।
ভুটানের জনসংখ্যা কত ২০২৪
ভুটানের মোট জনসংখ্যা আনুমানিক ৭.৫ লাখ (২০২৪)। দেশটি পৃথিবীর একেবারে ছোট দেশগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
ভুটানের প্রধান আকর্ষণীয় স্থানগুলো
ভুটানে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেখানে আপনার ভ্রমণ খুবই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখানে কিছু অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. থিম্পু – ভুটানের রাজধানী
থিম্পু ভুটানের রাজধানী এবং রাজকীয় শহর। এখানে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা, রাজকীয় ভবন, এবং মন্দির। শাশ্বত সৌন্দর্যের মধ্যে এখানে আপনি পুরোনো সময়ের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে পাবেন। বিশেষ করে থিম্পু তাওয়াং মঠ এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণের জন্য চমৎকার স্থান।
২. পারো – হিমালয়ের সৌন্দর্যে ঘেরা শহর
পারো একটি ছোট্ট শহর, যা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানে টাইগার নেস্ট মঠ (টাকসেং) অবস্থিত, যা একটি পাহাড়ের শিখরে নির্মিত। এটি একটি অন্যতম আধ্যাত্মিক স্থান এবং এর খ্যাতি সারা বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই জায়গায় হাইকিং বা ট্রেকিং খুবই জনপ্রিয়।
৩. পুনাখা – ঐতিহাসিক পুনাখা জং
পুনাখা শহরটি ভুটানের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবান স্থান। পুনাখা জং, যা একটি ঐতিহাসিক দুর্গ, এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। এটি বৌদ্ধ ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
ভুটান ভ্রমণ সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
১. বাংলাদেশ থেকে ভুটান সরাসরি ফ্লাইট আছে কি?
না, বাংলাদেশ থেকে ভুটানে সরাসরি কোনো কমার্শিয়াল ফ্লাইট নেই। তবে ভারতের মধ্য দিয়ে বা কাঠমাণ্ডু হয়ে যাওয়া যায়।
২. বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় কী?
সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় হচ্ছে সড়কপথে যাওয়া। ঢাকা থেকে বুড়িমারী হয়ে ফুন্টশোলিং বর্ডার দিয়ে ভুটানে প্রবেশ করা যায়।
৩. বাংলাদেশ থেকে ভুটান বিমান ভাড়ার পরিমাণ কত?
যদি ফ্লাইটে যেতে চান, তাহলে ঢাকা → কাঠমাণ্ডু → পারো এই রুটে গেলে মোট খরচ হতে পারে ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা (one-way)। তবে অফার বা সিজন অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।
৪. বাংলাদেশ থেকে ভুটান সড়কপথে যেতে কত সময় লাগে?
ঢাকা থেকে বুড়িমারী যেতে লাগে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা, এরপর বর্ডার পার হয়ে ফুন্টশোলিং যেতে ২-৩ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে সময় লাগে প্রায় ১৫-১৮ ঘণ্টা।
৫. ভুটান যেতে কি ভিসা লাগে?
না, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভুটানে ভিসা লাগে না। তবে ফুন্টশোলিংয়ে গিয়ে Entry Permit নিতে হয়।
৬. বাংলাদেশ থেকে ভুটান ট্যুর প্যাকেজ পাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, অনেক ট্রাভেল এজেন্সি ৪-৭ দিনের ভুটান ট্যুর প্যাকেজ অফার করে। জনপ্রতি খরচ সাধারণত ১৮,০০০ – ৩০,০০০ টাকার মধ্যে হয়।
৭. ভুটান যাবার জন্য কোন এয়ারলাইনস ব্যবহার করা যায়?
Druk Air এবং Bhutan Airlines মূলত ভুটানে ফ্লাইট পরিচালনা করে। তবে সেগুলোর বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কানেকশন নেই।
৮. বাংলাদেশ থেকে ভুটানের দূরত্ব কত?
সরাসরি সড়কপথে দূরত্ব আনুমানিক ৮০০ কিলোমিটার (ঢাকা থেকে থিম্পু পর্যন্ত)।
৯. ভুটানে কি বাংলাদেশি টাকা ব্যবহার করা যায়?
না, ভুটানে নুলট্রাম (BTN) এবং ভারতীয় রুপি (INR) ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশি টাকা গ্রহণযোগ্য নয়।
১০. বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাবার কোনো বাস সার্ভিস আছে কি?
না, সরাসরি কোনো আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস নেই। তবে ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত বাস আছে এবং বর্ডার পার হওয়ার পর স্থানীয় বাস বা ট্যাক্সি পাওয়া যায়।
১১. বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাবার রোড ম্যাপ কেমন?
ঢাকা → বগুড়া → রংপুর → লালমনিরহাট → বুড়িমারী → চাংলোংখা বর্ডার → ফুন্টশোলিং → থিম্পু
১২. বাংলাদেশ থেকে ভুটান যেতে কবে ফ্লাইট পাওয়া যায়?
যেহেতু সরাসরি ফ্লাইট নেই, তাই কাঠমাণ্ডু বা দিল্লি হয়ে ফ্লাইট নিতে হয়। এইসব কানেকশন চেক করতে ট্রাভেল এজেন্ট বা ফ্লাইট বুকিং সাইটে যেতে হবে।
Q: How to go Bhutan from Bangladesh?
A: You can travel to Bhutan from Bangladesh without entering India directly. Take a bus from Dhaka to Burimari border, cross into Bhutan through the Changloongkha border, and reach Phuentsholing. This is a direct land route that avoids entering mainland India.
Q: How to go to Bhutan from Bangladesh?
A: The most budget-friendly and visa-free route is via Dhaka → Burimari → Changloongkha → Phuentsholing (Bhutan). This way, you don’t need an Indian visa as the crossing avoids inner Indian territory.
Q: How can I go to Bhutan from Bangladesh?
A: You can go by road through the Burimari land port and enter Bhutan directly via Changloongkha. This route is suitable for travelers who want to skip India entirely.
Q: How to travel Bhutan from Bangladesh?
A: Use the direct route from Bangladesh: Dhaka → Burimari → Changloongkha → Phuentsholing. No Indian visa is needed, and Bangladeshi citizens get a free entry permit on arrival at Bhutan’s border.
Q: How can I go to Bhutan from Bangladesh by road?
A: The direct land route avoids India. Take a bus to Burimari, cross at Changloongkha, and reach Phuentsholing. From there, travel onward to Thimphu, Paro, or Punakha by local transport.
Q: How to get Bhutan visa from Bangladesh?
A: You don’t need a visa to enter Bhutan. Just bring your passport and one passport-size photo to get a free entry permit at the Phuentsholing Immigration Office.
Q: How to go to Bhutan by road from Bangladesh?
A: Travel Dhaka → Burimari → Changloongkha → Phuentsholing. This route keeps you outside Indian territory and provides a smooth entry into Bhutan.
Q: How to go Bhutan from Bangladesh by road?
A: Use the visa-free land route from Bangladesh to Bhutan via Burimari and Changloongkha. After entering Phuentsholing, continue to explore Bhutan’s major cities with local transport.
Q: How to go Bhutan from Bangladesh by air?
A: Currently, there are no direct flights from Dhaka to Bhutan. However, this guide focuses on road travel without entering India, which is more economical and requires no Indian or Bhutanese visa.
উপসংহার
ভারত ভিসা ছাড়াই ভুটান ভ্রমণ এখন সহজ এবং সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভুটানে পৌঁছানোর এই গাইডটি আপনাকে ভুটান ভ্রমণের জন্য সঠিক পথ নির্দেশনা দিবে। মাত্র ৫ দিন ৪ রাতের জন্য এই ভ্রমণ করলে, আপনি ভুটানের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আশা করি, এই গাইডটি আপনাকে সহায়তা করবে এবং আপনার ভুটান ভ্রমণ স্মরণীয় হয়ে উঠবে।
আরও কোনো সহায়তা বা প্রশ্ন থাকলে, অবশ্যই জানাবেন।
ভ্রমণ শুভ হোক!